
মো:সিরাজুল ইসলাম পলাশ লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে কয়েকদিন ধরে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পর তিস্তা নদীর পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল, চর ও সড়কপথ পানিতে তলিয়ে রয়েছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৬টায় তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ দশমিক ২৫ মিটার, যা বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপরে। অর্থাৎ, নদীর পানি ধীরে ধীরে কমছে। রোববার রাতে এ পয়েন্টে পানির উচ্চতা ছিল বিপৎসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপরে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, ভারতের গজলডোবা ব্যারেজের কিছু গেট বন্ধ করা এবং উজানে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় তিস্তায় পানি হ্রাস পাচ্ছে। তবে এখনও নদী তীরবর্তী এলাকার ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে আছে।
স্থানীয়রা জানায়, নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট ও গ্রামীণ সড়ক পানির নিচে থাকায় চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বহু পরিবার এখনো নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্র বা আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থান করছে।
গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, ‘তিস্তার পানি কিছুটা কমলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। এখনও আমার ইউনিয়নের ৫০০০ পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছে। শুকনা খাবার ও ত্রাণ সহায়তা এখন সবচেয়ে জরুরি। রাস্তা, ঘরবাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনা এখনও পানিতে তলিয়ে রয়েছে।’
বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে, উজানে ভারী বৃষ্টি না হলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমে আসবে। তবুও নিম্নাঞ্চল ও গ্রামীণ সড়ক এখনো তলিয়ে রয়েছে।
© All rights reserved © 2023
Leave a Reply