
হুমায়ূন রশিদ জুয়েল স্টাফ রিপোর্টার
কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে দিগদাইড় ইউনিয়ন লক্ষ্মীপুর গ্রামে সরকারি খাস খতিয়ানের ভূমির রাস্তা জোরপূর্বক বন্ধ ও দখলের অভিযোগ ওঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ৬নং দিগদাইড় ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে ৫নং ওয়ার্ডের ১. মো: সাত্তার মিয়া, পিতা- আব্দুল ছোবান ২. আঃ মোতালিব, পিতা- মেঘু হোসেন ৩. নুরুল ইসলাম, পিতা- মেঘু হোসেন ৪. আব্দুল হেকিম, পিতা- ইছব আলীর বিরুদ্ধেএ বিষয়ে তাড়াইল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়,তাড়াইল থানার অফিসার ইনচার্জ ও এডিসি বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন, রাফিউল উলুম হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ আমির হামজা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন উপসহকারী কর্মকর্তা ভূমি এর কথা অমান্য করে দুর্বৃত্তরা রাতের আধারে ভূমিহীন বন্দোবস্ত মূলে প্রাপ্ত মালিক আব্দুল কদ্দুছ এর জায়গায় অস্থায়ী ঘর করে, রাফিউল উলূম ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও কবরস্থানের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।
এতে চরম জনদুর্ভোগের শিকার হচ্ছে মাদ্রাসা ছাত্র-শিক্ষক ও এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানান, রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার কারণে বর্তমানে মৃত ব্যক্তির লাশ নিয়ে যাওয়া আসা করা সম্ভব হবে না, আমরা গ্রামবাসী এতদিন যাবৎ জেনে আসছি উক্ত রাস্তাটি ভূমিহীন বন্দোবস্ত মূলে প্রাপ্ত মালিক আব্দুল কদ্দুছ, তিনি রাস্তা দিতে ইচ্ছুক কিন্তু বিবাদীগন দাঙ্গাবাজ, অশৃংখল, অসামাজিক, হীন প্রকৃতির লোক, গ্রামের দরবার শালিশ মানেনা তাই এই দুর্বৃত্তরা কিছুতেই রাস্তা দিতে রাজি নয়।
উক্ত রাস্তা দিয়ে আরও ১০০ বছর পূর্বে থেকে মানুষ চলাচল করে আসছে। এই রাস্তাটি খোলা না হলে মাদ্রাসা ও কবরস্থান অচল হয়ে যাবে।
তাই উক্ত বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজন বিবাদীগণের সাথে কথা বললে বিবাদীগন আরও বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকি দেয়।
আরও জানা যায়,বন্দোবস্ত মূলে প্রাপ্ত ভূমির মালিক, ( ১). মোঃ আব্দুল কদ্দুছ পিতা-আব্দুর রশিদ (২)জোসনা আব্দুল কুদ্দুস এস.এ ১৭৭/আর,এস ২৮৪ দাগের ০.১১০০ একর জমি ১৭৭(১২)২০০৮-২০০৯/১১(১২)২০০৮-২০০৯নং ভূমিহীন বন্দোবস্ত মূলে প্রাপ্ত মালিক। তারা বলেন- ‘মাদ্রাসা এবং কবরস্থানের প্রয়োজনে রাস্তার ভূমি দিতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
কিন্তু প্রতিপক্ষ আব্দুস ছোবান দাবি করেন, আমার ভূমিতে মাদ্রাসা ও কবরস্থানের জন্য রাস্তা দিতে আমি রাজি নই।’
ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারি কর্মকর্তার রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যায় প্রকৃত পক্ষে যে জায়গায় রাতের আঁধারে গৃহনির্মাণ করা হয়েছে সেই জায়গাটির প্রকৃত মালিক আব্দুল কদ্দুস।
উল্লেখ্য, আব্দুস ছোবানের ছেলে আব্দুল কাদির রাতের আধারে রাস্তার উপর অবৈধভাবে ঘর নির্মাণ করে, রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়ায় জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে, যা এলাকায় বর্তমানে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বর্তমানে মাদ্রাসার শিক্ষক এবং কোমলমতি শিক্ষার্থীরা,প্রতিদিন ফসলি জমি ধানক্ষেতের সুরু আইল দিয়ে বিপদজনক ও ভয় ভীতির মধ্য দিয়ে যুকিপূর্ণ ভাবে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। প্রতিদিন শিক্ষার্থীদের অভিভাবক দুশ্চিন্তা এবং চরম আতঙ্ক নিয়ে তাদের সন্তানদের মাদ্রাসায় পাঠাচ্ছেন ।
যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা সম্ভাবনা রয়েছে ।
উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাড়াইল থানা ওসি সাব্বির রহমান শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সরজমিনে গিয়ে এলাকাবাসিদের নিয়ে বিট পুলিশিং সভার আয়োজন করেন।
এই বিষয় নিয়ে তাড়াইল থানার ওসি সাব্বির রহমান বিবাদীদেরকে সতর্ক করে বলেন- সরকারি লিজের জমি অনুমতি ছাড়া শ্রেণি পরিবর্তন করা যায় না।আপনারা যেটি করেছেন সেটি বেআইনি,পাশাপাশি জনগণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে যে প্রতিবন্ধীকতা ও জনদুর্ভোগের সৃষ্টি করেছেন এতে আপনাদের সরকারি ভূমিহীন চুক্তি লীজ বাতিল হতে পারে।
© All rights reserved © 2023
Leave a Reply