
শেখ সাদী সুমন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধ
মেঘনা নদীর ভাঙনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের চারটি গ্রাম হুমকি মুখে। গত কয়েক দশকে এ ভাঙনে ধরাভাঙ্গা, মুক্তারামপুর, নূরজাহানপুর, সোনাবালুয়া গ্রামের বহু কৃষিজমি, ঘরবাড়ি ও অসংখ্য গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। মেঘনার এই ভয়াবহ ভাঙ্গন রোধে প্রশাসনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন সময় আন্দোলন করে আসছেন ভুক্তভোগীরা। কিন্তু তাতেও কোন কাজে আসেনি।
জানা গেছে, নবীনগর উপজেলার মেঘনা তীরবর্তী নবীনগর পশ্চিম বড়িকান্দি ইউনিয়নের প্রায় ৪ টি গ্রামে ২৫ থেকে ৩০ হাজার বাসিন্দা বছরের পর বছর ধরে এ ভাঙনের ঝুঁকি নিয়ে বাস করছেন
এলাকাবাসীর অভিযোগ কিছু আগে ডিসি অফিস থেকে ইজারা দেওয়া হয়েছে বালু মহলের,নিজেরা পেয়েছে মুন্স এন্টারপ্রাইজ মালিকানাধীন শাহাদাত হোসেন শোভন ইজারাদার কোন নিয়ননীতি ওয়াক্কা না করে দিনরাত অবিরাম চুম্বক ডেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। ৬০ টির বেশির ডেজার মিশন দিয়ে বালু তোলার ফলে আশেপাশে কৃষি জমি এবং মানুষের বসতিটা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড তৈরি ৭২ কোটি টাকার বেরিবাদ এক অংশ নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নিয়ম হল ১০ টি ডেজার ব্যবহার করবে। প্রশাসনের কাছে বারবার অভিযোগ দিও কোন কাজ হচ্ছে না। এমন অবস্থায় আশপাশে গ্রামগুলো মানুষগুলো অসহায় পড়েছে মুক্তারামপুর নুরজাহানপুর সোনা বালুয়া ধরাভাঙ্গা গ্রাম গুলোর মানুষ।
© All rights reserved © 2023
Leave a Reply