আব্দুর রউফ দুদু গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ-
ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মইলাকান্দা ইউনিয়নের গোবিন্দপুর বাজারে খুচরা সার ডিলারের দোকানে অবৈধ মজুদকৃত ৩শ বস্তা সারের পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে দিনব্যাপি উপজেলা প্রশাসনের মাঝে চলছে নানা তালবাহানা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে এক ট্রাক সার আসে গোবিন্দপুর বাজারে। গোবিন্দপুর বাজারের মা বীজ ভান্ডার এন্ড কৃষি ফার্মেসি নামক দোকানের খুচরা সার বিক্রেতা মো. জাহাঙ্গীর আলম সোহাগের নেতৃত্বে নামানো হয়। ট্রাক থেকে এসব সার নামিয়ে খুচরা সার বিক্রেতা তার নিজ দোকানে গোদামজাত করেন। অবৈধভাবে ভোরে ইউরিয়া সার আসার বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, এ সার বিক্রেতা গত সপ্তাহেও আরো এক ট্রাক সার এনে স্থানীয় বাজারে কৃষকদের মাঝে বিক্রি করেছেন। বাহির থেকে কমমূল্যে সার এনে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করার জন্য অবৈধভাবে এ সার সবরাহ করেন।
খবর পেয়ে ছুটে আসেন গৌরীপুর কৃষি বিভাগের কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. রাকিবুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ৩সদস্যের টিম। সরজমিনে এসে ঘটনার সত্যতা দেখতে পান। গোডাউন পরিদর্শন করে খুচরা সার হিসাবে মজুমকৃত সারের অতিরিক্ত ৩শ বস্তা ইউরিয়া সারের সন্ধান মিলে। এ প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের জানান, বিষয়টি উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
খুচরা সার বিক্রেতা মো. জাহাঙ্গীর আলম সোহাগ জানান, আমি কোনো অবৈধ সার মজুদ করি নাই। নেত্রকোনা থেকে ৩শ বস্তা সার আনা হয়েছে। গুটি ইউরিয়া তৈরি করে তা ফেরত দেয়া হবে। আমি শুধু মজুরির টাকা পাবো। তিনি আরও বলেন, অন্য জেলা থেকে সার আনার বিষয়টি কৃষি বিভাগকে অবহিত করা হয়নি। এটা আমার ভুল হয়েছে। তবে ১০/১২বছর যাবত আমি এভাবে সার এনে গুটি ইউরিয়া প্রস্তত করে দিচ্ছি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি অফিসার নিলুফার ইয়াসমিন জলি বলেন, খুচরা দোকানে অতিরিক্ত সার পাওয়ার ঘটনায় সেখানে কৃষি কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হয়েছে।
অপরদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম সাজ্জাদুল হাসান বলেন, গোবিন্দপুর বাজারে ডিলারের দোকানে সারের ঘটনা জেনেছি। এ বিষয়ে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা কৃষি অফিসারকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ দিকে স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলা কৃষি বিভাগের একটি টিম সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে আসে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাগণ দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে ছিলেন। তারপরে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ ছাড়াই তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। সারাদিন ওই খুচরা বিক্রেতা দোকানদারি করেছেন। সারও তার গুডাউনে মজুদ আছে।
© All rights reserved © 2023
Leave a Reply