1. stbanglatv@stbanglatv.com : stbanglatv : stbanglatv
  2. zakirhosan68@gmail.com : zakirbd :
ঈশ্বরগঞ্জে দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট, থানায় অভিযোগ দায়ের - Stbanglatv.com
বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন

ঈশ্বরগঞ্জে দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট, থানায় অভিযোগ দায়ের

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৪০ Time View

 

এস এ শামীম ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে একটি বিকাশ এজেন্টের দোকানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যার পর উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের ভাদাটি আনন্দবাজারে কাইয়ুম টেলিকমে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ (১২ জানুয়ারি) রোববার দোকানের মালিক মো. কাইয়ূম বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে অভিযুক্ত করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।

 

অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের ভাদাটি গ্রামের ইদ্রিস আলীর তিন ছেলে মো. আব্দুর রশিদ ওরফে মনু (৫০), মো. আব্দুল কদ্দুস (৪৫), আব্দুল মালেক (৪০), মো. আব্দুর রশিদ ওরফে মনুর ছেলে মো. সেলিম (২৫), মৃত হাছেন আলীর ছেলে মো. সবুজ মিয়া ওরফে সবু মিস্ত্রি (৩৮)।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে অভিযুক্তরা গতকাল সন্ধ্যায় কাইয়ুমের বিকাশ এজেন্ট ও ফ্লেক্সিলোডের দোকানে হামলা চালায়। এসময় কাইয়ুমকে মারধরের একপর্যায়ে তাঁর ড্রয়ারে থাকা নগদ ১০ লাখ ৩৫ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন কোম্পানির মিনিট কার্ড লুটকরে নিয়ে যান। ওইসময় কাইয়ুমকে উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হন তাঁর চাচা মো. মকবুল হোসেন (৫০)।

 

মো. মকবুল হোসেন (৫০) বলেন,’ কিছু বোঝে ওঠার আগেই ৫-৭ জন লোক কাইয়ুমের দোকানে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় এবং কাইয়ুমকে মারধর শুরু করে। আমি তাদের ফিরাতে গেলে তারা আমাকেও এলোপাতাড়ি মারধর করে।’

 

ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী সাইকুল ইসলাম (৩৫) বলেন,’ শনিবার মাগরিবের নামাজের পর আমি কাইয়ুম টেলিকমে বিকাশ থেকে টাকা উঠাতে আসি। এসময় হঠাৎ একদল লোক এসে দোকান ভাঙচুর ও কাইয়ুমকে মারধর করে এবং টাকা উঠানোর জন্য নিয়ে আস আমার হাতে থাকা বাটন মোবাইলটি নিয়ে চলে যায়।

 

এলাকার মো. জুয়েল মিয়া(৪৫) নামে একজন বলেন,’জমি বন্ধকের ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা কাইয়ুমের দোকানে রেখে আমি মসজিদে নামাজ পড়তে যাই। নামাজ পড়ে এসে দেখি হামলাকারীরা দোকান ভাঙচুর করে আমার টাকাগুলোও নিয়ে যায়। আঠারবাড়ি বাজারে কাপড়ের ব্যবসা করেন আনোয়ার। তিনি তার এক ভাতিজাকে দিয়ে ব্যবসার মাল কেনা বাবদ ১ লাখ টাকা পাঠায় কাইয়ুমের দোকানে রাখতে। সেই টাকাও নিয়ে গেছে অভিযুক্তরা।

 

অভিযোগের প্রসঙ্গে জানতে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। যে কারণে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

 

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.ওবায়দুর রহমান বলেন-‘ ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। তাছাড়া উভয় পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগুলো তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

© All rights reserved © 2023

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি