
শফিকুল আলম সজীব নেত্রকোনা দুর্গাপুর প্রতিনিধি:
একসময় চোখে ছিল উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন। মেধা আর প্রতিভার জোরে সফলভাবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণও হয়েছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে, সেই স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল। বলছি শাকিল আহমেদ (২২)-এর কথা, যিনি পারিবারিক তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের কারণে লেখাপড়া ছেড়ে সংসারের হাল ধরতে বেছে নিয়েছিলেন অটোরিকশা চালানোর কাজ।
দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করা সেই সংগ্রামী যুবকের জীবন এখন এক কঠিন সংকটের মুখে। সম্প্রতি তিনি এক দুরারোগ্য ব্যাধি—ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন। যে হাত অটোরিকশার হ্যান্ডেল ধরে পরিবারের দায়িত্ব বহন করত, আজ সেই হাত জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে থাকা এক নিদারুণ কষ্টের ভারে দিশেহারা।
সবচেয়ে মর্মান্তিক সত্য হলো, অর্থের অভাবে তাঁর প্রয়োজনীয় জীবনদায়ী চিকিৎসা শুরু করা যাচ্ছে না। তাঁর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটছে, অথচ জীবনের আলো নিভে যাওয়ার ঠিক আগে জরুরি চিকিৎসাব্যবস্থা তাঁর ধরাছোঁয়ার বাইরে।
নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের বাসিন্দা শাকিলের পরিবার বর্তমানে চরম অসহায়ত্বের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তাঁর পিতা আনোয়ার হোসেনও একজন অটোরিকশা চালক। সীমিত আয়ের এই পরিবারে এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে শাকিলই বড়। সামান্য আয়ে যখন সংসার চালানোই দায়, তখন ক্যান্সারের মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসার ভার বহন করা তাদের পক্ষে অসম্ভব।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, জরুরি ভিত্তিতে প্রচুর অর্থের সংস্থান না হলে শাকিলকে বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়বে। মেধাবী ছাত্র থেকে কর্মঠ যুবক, আর এখন জীবনযুদ্ধে পরাজিত হতে বসা এই অসহায় মানুষটির জীবন বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয় মানুষের অবিলম্বে আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন।
জীবনযুদ্ধে পরাজিত হতে বসা এই যুবককে ফিরিয়ে আনতে এবং ক্যান্সারের বিরুদ্ধে এই অসম লড়াইয়ে জয়ী করতে মানবিক সাহায্যই এখন তাঁর একমাত্র ভরসা।
© All rights reserved © 2023
Leave a Reply