
এম এ হাসান, লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি:
ভোলার লালমোহনে ৫ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত পথসভায় জামায়াতে ইসলামি ও ইসলামী আন্দোলনের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব সফিউল্লাহ হাওলাদার।
চৌরাস্তায় অনুষ্ঠিত পথসভায় তিনি বলেন,
> “এই অঞ্চলের তথাকথিত ইসলামী দলগুলো প্রকৃত ইসলামের প্রতিনিধিত্ব করে না। তারা ইসলামের নাম নিয়ে রাজনীতি করছে, চাঁদাবাজি করছে। এরা ধর্ম ব্যবসায়ী ও ভণ্ড। মানুষকে বিভ্রান্ত করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করছে।”
তিনি আরও বলেন,
> “আমরা প্রকৃত ইসলামের দাওয়াত দেই, যেখানে নেই হিংসা, নেই মিথ্যাচার, নেই রাজনৈতিক স্বার্থে ধর্মের অপব্যবহার।”
জনতার মিশ্র প্রতিক্রিয়া:
বক্তব্যের পর জনতার মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। একজন স্থানীয় অধিবাসী বলেন,
> “হাজী সাহেবের মুখে এসব কথা মানায় না। উনি নিজেও ধর্মীয় লেবাসে চলাফেরা করেন। জামায়াত বা ইসলামী আন্দোলনের সমালোচনা রাজনৈতিক হতেই পারে, কিন্তু ধর্মীয় ভাষায় আক্রমণ ঠিক হয়নি।
জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের পাল্টা প্রতিক্রিয়া:
এ বিষয়ে লালমোহন জামায়াতে ইসলামীর এক স্থানীয় নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,
> “বিএনপি যখনই জনগণের আস্থা হারায়, তখন আমাদের ওপর দোষ চাপিয়ে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা করে। ইসলামবিরোধী শক্তির সঙ্গে আপস করেই আজ তারা পথ হারিয়েছে। আমরা জনগণের পাশে ছিলাম, আছি, থাকবো।”
অন্যদিকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের লালমোহন উপজেলার এক নেতার মন্তব্য,
> “এ ধরনের বক্তব্য কেবল রাজনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘনই নয়, ইসলামের বিরুদ্ধে ইঙ্গিতও বহন করে। আমাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে প্রমাণসহ বলুক, অপবাদ দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার দিন
সফিউল্লাহ হাওলাদারের বক্তব্য এবং সংশ্লিষ্ট দলের প্রতিক্রিয়া স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তেজনা তৈরি করেছে। বিএনপি, জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের মধ্যে সম্পর্কের দূরত্ব বিগত বছরগুলোতে বেড়েছে, তা এই ঘটনার মাধ্যমে আরও স্পষ্ট হলো।
© All rights reserved © 2023
Leave a Reply