হুমায়ুন রশিদ জুয়েল স্টাফ রিপোর্টার :
কিশোরগঞ্জে গত শনিবার ৩০ আগস্ট সময় সকাল ৭ টায় ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ১৩টি সিন্দুক ৪ মাস ১৮ দিন পর খোলা হলে, তা দিনভর গণনা করে রেকর্ড ১২ কোটি ৯ লাখ ৩৭হাজার ২২০ টাকা পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে মসজিদের ব্যাংক হিসাবে ১০৩ কোটি টাকা জমা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান।
প্রতি চার মাস পর জেলা শহরের নরসুন্দা নদীতীরের পাগলা মসজিদের দানের সিন্দুকগুলো খোলা হয়। গতকাল শনিবার সকাল সাতটা থেকে পাঁচ শতাধিক লোক ৩২ বস্তা টাকা গণনা করেন। প্রায় ১৩ ঘণ্টা গণনা শেষে টাকার অঙ্ক জানা যায়। সিন্দুকে স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রাও পাওয়া গেছে।
এর আগে চলতি বছরের ১২ এপ্রিল দানবাক্সগুলো খোলা হয়। ওই সময় ২৮ বস্তা টাকা গণনার পর ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭টাকাসহ বৈদেশিক মুদ্রা, সোনার গয়না ও হীরা পাওয়া গিয়েছিল।
জেলা প্রশাসক ও মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী ও দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এরশাদুল আহমেদের উপস্থিতিতে পাগলা মসজিদের দানবাক্সের টাকা গণনা চলছে।
গতকাল কিশোরগঞ্জে শনিবার সকালে ১৩টি সিন্দুক খোলা হয়।
জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান ভোরের আকাশ ও এসটি বাংলা টিভিকে জানান, পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে দানের বাকি টাকা ব্যাংকে জমা রাখা হয়। এ পর্যন্ত ৯১ কোটি টাকা ব্যাংকে জমাসহ অনলাইনের দানের আরও পাঁচ লক্ষাধিক টাকা জমা আছে। আজকের টাকাও ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়েছে। এসব টাকার লভ্যাংশ থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও এতিমখানায় অনুদানের পাশাপাশি অসহায় ও জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তা করা হয়।
উল্লেখ্য :অনেকগুলি চিঠিও পাওয়া গেছে,চিঠির ভাষা গুলো ছিল,প্রিয়জনকে কাছে পাওয়ার আকুতি মনোবাসনা পূরণের জন্য ইত্যাদি, ইত্যাদি।
© All rights reserved © 2023
Leave a Reply