1. stbanglatv@stbanglatv.com : stbanglatv : stbanglatv
  2. zakirhosan68@gmail.com : zakirbd :
দিনাজপুরের হিলিতে কলার বাগান করে স্বাবলম্বী সাকিল আনসারী - Stbanglatv.com
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন

দিনাজপুরের হিলিতে কলার বাগান করে স্বাবলম্বী সাকিল আনসারী

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৬ Time View

 

হাকিমপুর উপজেলা প্রতিনিধি,মোঃওয়াজকুরনী

দিনাজপুরের হিলিতে কলার বাগান করে স্বাবলম্বী হয়েছেন শাকিল আনসারী। তিনি প্রথমবারের মতো গড়ে তুলেছেন উপজেলায় বিশাল এক কলার বাগান। তার বাগানে এক হাজার তিনশ গাছ ও তের হাজারেরও বেশি চারা রয়েছে। যা থেকে বছরে আয় করেন আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা। তার এই বাগানে কর্ম সংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে বেশ কয়েকজন যুবকের।এই বাগানটি দেখতে প্রতিনিয়ত ছুটে আসছেন দুর-দুরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা। এদিকে ওই বাগান মালিককে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতার আশ্বাস উপজেলা কৃষি সম্পাসরণ অধিদপ্তরের।

 

 

বাগান মালিক শাকিল আনসারী জজ বলেন, ১৫০ শতাংশ জমিতে ২ বছর আগে ১৩০০ গাছ চারা দিয়ে শুরু করেন। এর পর ছয় মাস পর থেকে ফল আসতে শুরু করে। এখন বছরে আয় তার আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা। ১৫০ শতাংশ জমিতে চাষ করতে চারা, সার, শ্রম ও অন্যান্য খরচ মিলে প্রায় এক লাখ ১০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার।

 

অন্যান্য ফলের তুলনায় কম খরচে বেশি লাভ ও ভালো বাজার মূল্যের কারণে কলা চাষে আগ্রহ হয়ে পড়েছেন তিনি। শুধু ফল বিক্রি করেই নয়, কলার চারা বিক্রি করেও অতিরিক্ত আয় করছেন তিনি। তাই তার মুখে তৃপ্তির হাসি দেখা গেছে। ইতিমধ্যে তিনি কলা কাটতে শুরু করেছেন। তার কলার বাগানে কলা ছাড়াও আছে জলপাই,আম,পিয়ারা,ডালিম,লিচু,লটকো,কাজু বাদাম,মালতাসহ অনেক প্রকার ফলের গাছ। এছাড়াও তার বাগানে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে বেশ কয়েকজন যুবকের।

 

কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, এমন একটি বাগানের দেখা মিলবে দিনাজপুরের হিলি পৌর শহরের ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় শাকিল আনসারীর বাগান।তিনি বাগান করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন।তার এই বাগানের সামনে গেলেই দেখা মিলবে গাছে সাড়ি সাড়ি কলার ঘাউড়। দুর থেকে দেখলে প্রাণ জুরিয়ে যাবে কলা দেখে।। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে।তার এই বাগানের কলাগুলো খুব মিষ্টি এবং সুস্বাদু। তার এই বাগান আশপাশের গ্রাম থেকে মানুষ দেখতে আসেন । অনেকে আবার তার কাছ থেকে কলা চাষাবাদ করার পরামর্শও নিচ্ছেন। কৃষি বিভাগ যদি সহজ শর্তে প্রান্তিক কৃষকদের ঋণ সহায়তা দেয়, তাহলে আমরা উদবৃদ্ধ হয়ে কলা চাষে আগ্রহী হবেন।

 

রহিম নামের এক শ্রমীক বলেন, তার এই বাগানে কর্ম সংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে বেশ কয়েকজন যুবকের। এখানে যা টাকা বেতন পায় তা দিয়ে সংসার পরিচানা করেন।

 

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন, উপজেলায় ৪ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে।উপজেলায় কৃষির মধ্যে এটি একটি লাভজনক কৃষি ফসল। আমরা কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, কলা ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবারের অন্যতম ভালো উৎস। দেশে সুপার শপ, স্থানীয় বাজার ও পাইকারি বাজারে কলার স্থায়ী চাহিদা রয়েছে। কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তাদের প্রত্যাশা, সঠিক পরিকল্পনা ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এলাকায় একদিন দেশের সীমানা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারেও জায়গা করে নেবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

© All rights reserved © 2023

ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: সীমান্ত আইটি