জেলা প্রতিনিধি, পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিশ্ব মশা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এক শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে টিএসসিতে এসে কীটতত্ত্ব বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মিলিত হয়।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আবদুল লতিফ বলেন, “আজকের তরুণ প্রজন্মই আগামী দিনের নেতৃত্ব দেবে। তারা যদি এখন থেকেই মশা ও মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সচেতন হয়, তবে আগামী প্রজন্ম একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারবে।”
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান বলেন, “মশা প্রতিরোধ কেবল সরকারি উদ্যোগে সম্ভব নয়; প্রত্যেককে নিজ নিজ আঙিনা ও চারপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “মশাবাহিত রোগ শুধু ব্যক্তির নয়, বরং গোটা সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য বড় হুমকি। সচেতনতা আর সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমেই আমরা এই রোগ প্রতিরোধ করতে পারি। শিক্ষার্থীদের উচিত নিজেদের পাশাপাশি পরিবার ও সমাজকে সচেতন করে তোলা। স্বাস্থ্যকর পরিবেশ গড়ে তুলতে হলে প্রত্যেককে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।” বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষাঙ্গনগুলোকে এ ক্ষেত্রে রোল মডেল হিসেবে কাজ করতে হবে।”
উল্লখ্য প্রতি বছর ২০ আগস্ট বিশ্ব মশা দিবস পালিত হয়। তবে আগামীকাল ২০ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে আখেরি সোম্বা উপলক্ষে বন্ধ থাকায় একদিন এগিয়ে আজ দিবসটি পালন করা হয়। ১৮৯৭ সালের এই দিনে ব্রিটিশ চিকিৎসক স্যার রোনাল্ড রস প্রমাণ করেন যে স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশা ম্যালেরিয়ার বাহক। তার এই আবিষ্কারের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯০২ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। এ স্মৃতিকে ধারণ করেই দিবসটি পালিত হয় বিশ্বজুড়ে।
পবিপ্রবিতে দিবসটি উপলক্ষে নানা সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে ছিল সেমিনার ও কর্মশালা, যেখানে মশা বাহিত রোগ ও প্রতিরোধের উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। শিক্ষার্থী ও স্থানীয় জনগণের মধ্যে প্রচারপত্র বিতরণ, ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান এবং দেয়ালিকা ও পোস্টার প্রদর্শনীর আয়োজনও করা হয়।
দিবসটির এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে পবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের মাঝে মশাবাহিত রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ক্যাম্পাসে একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ গড়ে তুলতে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।
© All rights reserved © 2023
Leave a Reply