এম এ হাসান,লালমোহন (ভোলা) প্রতিনিধি:
লালমোহন ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মহাজন বাড়ির পাশে দিয়ে ফুলবাগিচা অভিমুখে যাওয়া পাকা রাস্তার একটি ছোট অংশ ভেঙে গিয়ে তা এখন হাজারো মানুষের চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিগত তিন মাস ধরে এই ভাঙন অযত্ন-অবহেলায় ক্রমেই বড় হচ্ছে, কিন্তু কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বর্ষার সময় একপাশের পানি ধীরে ধীরে রাস্তাটি ক্ষয় করে ভাঙনের সৃষ্টি করে। কিন্তু সময়মতো মেরামতের উদ্যোগ না নেওয়ায় এখন ভাঙা অংশটুকু আরও প্রশস্ত হয়ে পড়েছে, যা দিয়ে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় দুই শতাধিক ছোট-বড় শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে। এছাড়া প্রতিদিন ছয় শতাধিক সাধারণ পথচারী, শতাদিক বেশি রিকশা, ভ্যান ও অন্যান্য পরিবহন ব্যবহার করে। রাস্তার পাশে রয়েছে মহাজন বাড়ির মসজিদ, যেখানে বয়স্ক মুসল্লিদের আসা-যাওয়া এখন অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
রিকশাচালক নুরনবী বলেন, “ভাই, ভাঙা জায়গা পার হতে রিকশার যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়। যা কামাই করি, সব রিকশা মেরামতে খরচ হয়ে যায়।”
বয়স্ক মুসল্লি হানিফ মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ফজর আর এশার নামাজ পড়তে মসজিদে যেতে পারি না এই ভাঙনের জন্য। অথচ তিন মাসেও কেউ উদ্যোগ নেয়নি।”
এলাকাবাসীর দাবি, এই সড়ক দিয়ে কমপক্ষে ১০টি খামারের গরু-মুরগি পরিবহনকারী গাড়ি চলাচল করে, যা গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রাস্তাটি চলাচল অযোগ্য হয়ে গেলে শিক্ষার্থী থেকে ব্যবসায়ী — সবাই ক্ষতির মুখে পড়বে।
এলাকার লোকজন জানান, জনপ্রতিনিধি না থাকায় কেউ দায়িত্ব নিচ্ছে না। অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে বর্ষার বাকি সময়টুকুতে ভাঙন আরও বড় হয়ে সম্পূর্ণ সড়কটি অচল হয়ে যেতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে এলাকাবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহোদয়ের কাছে জরুরি হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছেন, যেন দ্রুত যেকোনোভাবে ভাঙন মেরামত করে হাজার মানুষের চলাচলের পথ সুগম করা হয়।
© All rights reserved © 2023
Leave a Reply