জাকিয়া বেগম বিশেষ প্রতিনিধি
ত্রিশাল উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের মাগুরেজাড়া তিনরাস্তার মোর হতে কানার ঘাট যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটির বেহালদশা। কাঁচা মাটি দিয়ে তৈরি এ রাস্তাটি গত ১৭ বছরেও কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে এ রাস্তাটির সংস্কারের বরাদ্দ থাকলেও বরাদ্দের টাকা কোথায় যায় তা কেউ জানে না। ফলে রাস্তাটির অবস্থা দিনের পর দিন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
১৩ ফুট প্রস্থ এক কিলোমিটার রাস্তাটির বেহাল দশায় জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। এখন এই রাস্তায় পায়ে হেঁটে চলাচলের মতো অবস্থা নেই। রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। কাঁচা এই রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টিপাতের কারণে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে কাঁদা মাটিতে একাকার হয়ে গেছে।
ঘন বর্ষার সময় কাদায় শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই রাস্তায় চলাচল করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। ফলে স্বাভাবিকভাবে চলাচলের আর উপায় থাকে না। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে যেতে পারে না এই অচলাবস্থার কারণে।
এলাকাবাসী জানান, গত ১৭ বছরে এই ১ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তায় এক ডালি মাটিও পড়েনি। বর্ষাকালে এ রাস্তায় কার্দা মাটির কারণে হাঁটাও দায় হয়ে পড়েছে। তবুও কর্দমাক্ত পিচ্ছিল এ রাস্তা দিয়েই প্রতিদিন এই এলাকার মানুষ ঝুঁকি নিয়েই যাতায়াত করছে।
কর্দমাক্ত রাস্তা পাড়ি দিয়েই হাট-বাজারে যেতে হয় এলাকাবাসীকে। নির্বাচন এলেই জনপ্রতিনিধিরা এ রাস্তাটি পাকাকরণের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু নির্বাচনের পরে আর কেউ এর খোঁজ রাখেন না।
এলাকার বাসিন্দা এমদাদুল হক মানিক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নেতা আসে নেতা যায়, কিন্তু এ রাস্তা পাকা হয় না। বর্ষা এলে প্রতিবছরই এ রাস্তা দিয়ে চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে পড়ে। হাঁটুসমান কাদামাটি পেরিয়েই এ রাস্তা দিয়ে যেতে হয়।
এলাকাবাসী জানায়, জনপ্রতিনিধি বদলায় কিন্তু বদলায় না আমাদের এলাকার দুর্ভোগের চিত্র। ফলে এই এলাকার চাষীরা উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করণ নিয়েও পড়েন বিপাকে এছাড়া কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব হয় না তাদের। ত্রিশাল উপজেলা প্রশাসনের নিকট এলাকাবাসীর প্রাণের দাবি, শত বছরের পুরোনো এই রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী করে দেয়া হোক।
দীর্ঘদিন কোনো সংস্কার না করায় এই কাঁচা রাস্তাটি বর্ষা মৌসুমে তা হাবড়ে (গভীর কাদা) পরিণত হওয়ায় একেবারেই চলাচলের অযোগ্য হয়ে যায়। রাস্তার মাটি লড়ি ট্রাক্টর ও পাওয়ার টিলার টলি চলাচল করায় হেঁটে চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে উঠেছে এই রাস্তা দিয়ে। বর্তমানে এই রাস্তায় স্থানভেদে এক থেকে দের ফুট পর্যন্ত কাদার গভীরতা রয়েছে।
এই বিষয়ে ইউপি সদস্য সুলতান সাদেক এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন শুধু এই রাস্তা নেয় আমার ওয়ার্ডের বেশির ভাগ রাস্তার একি অবস্থা, আমি নির্বাচিত হওয়ার পর রাস্তার কাজের জন্য কোন অনুদান পাইনি।
রাস্তাটি সংস্কার ও পাকাকরণের ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ এর সাথে মঠফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
© All rights reserved © 2023
Leave a Reply