নিজস্ব প্রতিবেদকঃহোসেনপুরে আগুনে পুড়ে ৭ টি দোকান ভূষ্মিভুত হয়েছে। এতে প্রায় ৩ কোটি টাকার উপরে ক্ষতি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার ভোর ৪: ৪০ মিনিটের সময় পৌর এলাকার মিষ্টিপট্রি চৌ রাস্তায় এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় আলাল মিয়ার পিঁয়াজুর দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে স্থানীয়রা জানায়; টিন ও কাঠের দোকান হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে হোসেনপুর ও কিশোরগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসের ৪ টি ইউনিট এসে আগুন নিভানোর কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা ২ ঘন্টা ৪০ মিনিট চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময়ের মধ্যে কফিল মিয়ার ও জুয়েল মিয়ার হার্ডওয়্যারের দোকান ছাড়াও আল- আমিনের ওষুধের ফার্মেসী, কমিশনার রবি হোসেনের বৈশাখী খাবারের হোটেল, গোলাপ মিয়ার পিঁয়াজুর দোকান ও শুকলালের জুতার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। হোসেনপুর ফায়ার সার্ভিসের সাব স্টেশন অফিসার শামছুল হক যদিও কোটি টাকার প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করেছেন। কিন্তু ব্যবসায়িগণ বলেন আমাদের দোকানের নগদ টাকা ও মালামাল সবই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে যেখানে জুয়েল মিয়ার দাবী তাঁর দোকানেই দুই লাখ টাকা নগদ ছিলো ও কোটি টাকার উপরের হার্ডওয়্যারী সামগ্রী ছিলো , এছাড়াও হার্ডওয়্যারী দোকানের কফিল মিয়া জানান, তার দোকানে নগদ আড়াই লাখ টাকা ও ৬০ লাক টাকার উপরের মালামাল ছিলো, আল- আমিনের ফিরোজা মেডিকেল হলে ৩ লাখ টাকা নগদ ও ৫০ লাখ টাকার মালামাল ছিলো, মুদি দোকানি গোবিন্দ জানান, তার ৬ লাখ টাকা নগদ ও কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়েছে। জুতার দোকানের মালিক শুকলাল জানান, তার নগদ ১ লাখ টাকা, ২ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার রক্ষিত ছিলো ; যার সবই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। স্থানীয়ীরা জানান, কাছেই পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের শাখা থেকে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন গাড়িতে করে পানি আনার চেষ্টা করলে নদের পানি ময়লাযুক্ত ও পলিথিন বর্জ্যের কারনে ব্যর্থ হয়ে আরেক জায়গায় থেকে পরে পানি সংগ্রহ করতে হয়, যে কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের আরও দেরি হয়; তা না হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কম হতো।
© All rights reserved © 2023
Leave a Reply