গাইবান্ধা জেলা করেসপন্ডেন্ট:গাইবান্ধার ঘাঘট নদী থেকে এক শিক্ষিকার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে গাইবান্ধা সদরে অবস্থিত ঘাঘট নদীর পূর্ব কোমরনই এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত তাসমিন আরা নাজ এর বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলাধীন খোলাহাটি ইউনিয়নের পূর্ব কোমরনই মিয়াপারা এলাকার মৃত নাজির হোসেনের মেয়ে। তিনি গাইবান্ধা এন, এইচ মর্ডাণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- দুপুরে স্থানীয় লোকজন নদীতে গোসল করতে গিয়ে একটি মরদেহ দেখতে পান। পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে নিহতের মা মোছা. হাসনা হেনা বেগম তার মেয়ে তাসমিন আরার লাশ বলে শনাক্ত করেন।
নিহতের পরিবারের দাবি, দীর্ঘদিন থেকে তাসমিন আরা নাজ মানসিক রোগে ভুগছিলেন। আজ সকালে সবার অজান্তে নদীতে এসে নামে। পরে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
অপরদিকে স্থানীয়দের কেউ বলছেন - তাসমিন আরা নাজ দীর্ঘদিন থেকে শিক্ষক পেশায় নিয়োজিত। এলাকার মানুষের কাছে তিনি একজন ভালো স্কুল শিক্ষিকা হিসেবে পরিচিত। তিনি জেলা শহরের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকার চাকরি করেছেন। গত কয়েকদিন থেকে তাসমিন আরা নাজের বিয়ের আলাপ চলছিল। তার বয়স প্রায় ৪৩ বছর হলেও ওই শিক্ষিকা বিয়েতে রাজি ছিলেন না। ওই শিক্ষিকার মৃত্যু রহস্যজনক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ওসি (অপারেশন) আবু ইকবাল পাশা জানান, নিহতের পরিবার জানিয়েছে প্রায় ১০ বছর থেকে তাসমিন আরা মানসিক রোগে ভুগছিলেন। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান আছে। ঘটনার রহস্য অনুসন্ধানে পুলিশ তদন্ত করছে। আইনী প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।