শেখ সাদি সুমন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতি নিধী
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ে তদবির করতে এসে গ্রেফতার হয়েছেন বাচ্চু মিয়া (৫০) নামের এক ব্যক্তি।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে তার বিরুদ্ধে দুটি হত্যাসহ চারটি মামলা আছে।
গ্রেফতার বাচ্চু মিয়ার (৫০) বাড়ি সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের ধামাউড়া গ্রামে। তিনি কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের অরুয়াইল ইউনিয়ন শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় তাঁকে সরাইল থানা পুলিশের কাছে হস্থান্তর করা হয়।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাচ্চু মিয়ার বিরুদ্ধে সরাইল এবং ঢাকার আদাবর থানায় দুটি হত্যা মামলা রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন থানায় দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে গত শনিবার ধামাউড়া গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য শিরিন আক্তারকে মারধরের অভিযোগে সরাইল থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় বাচ্চু মিয়া এক নম্বর আসামি। সোমবার দুপুরের পর বাচ্চু মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে তদবিরে যান। সেখানে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে গত শনিবার করা মামলটি মিথ্যা প্রমাণ করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। এর আগে গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে থেকে ডিবি পুলিশ বাচ্চু মিয়াকে মাদরাসাছাত্র হত্যা মামলায় গ্রেফতার করেন। এর দুই ঘণ্টা পর বিএনপির দুই নেতার সুপারিশে ডিবি পুলিশ তাকে ছেড়ে নেয়। এরপর কিছু দিন তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। গত মঙ্গলবার ধামাউড়া গ্রামে তিনি কয়েকজনকে নিয়ে শিরিণ আক্তারকে মারধর করেন। এ ঘটনায় গত শনিবার শিরিন আক্তার সরাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
শিরিন আক্তার বলেন, বাচ্চু মিয়ার নেতৃত্বে আমাকে মারধর করা হয়েছে। তার লোকজন মামলা তুলে নিতে আমাকে হুমকি দিচ্ছে। তার লোকজনের ভয়ে আমি একা মেয়েকে স্কুলে আনা-নেওয়া করতে পারছি না। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।বাচ্চু মিয়াকে পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, বাচ্চু মিয়ার বিরুদ্ধে দুটি হত্যাসহ চারটি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে।