জেনিভা প্রিয়ানা বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি
জুলাই-আগস্টের ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানে নিহত শহীদদের স্মরণে এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) মোংলা পৌর শাখা ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে শোক র্যালি ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই ২০২৫) সকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে পৌর মার্কেট চত্বর থেকে শোক র্যালিটি শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় পৌর মার্কেটে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মোংলা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব মো. জুলফিকার আলী।
বক্তারা বলেন, “জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে এক ঐতিহাসিক অধ্যায়। ছাত্রদলের ১৪৪ জনসহ বিএনপির প্রায় ৫ শতাধিক নেতাকর্মী এই সময়ে শহীদ হন। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের প্রতিটি ধাপে বিএনপি অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ছিল। সেই গৌরবময় ইতিহাস আজও আমাদের অনুপ্রেরণা।”
তারা আরও বলেন, “জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান কোনো একক গোষ্ঠীর ইতিহাস নয়, এটি জাতির আন্দোলনের প্রতীক। বিএনপির অবদানকে অস্বীকার করার ষড়যন্ত্র চলছে। যারা সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের নামে নির্বাচন ঠেকাতে চায়, তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। নেতাকর্মীরা সজাগ আছে, কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না।”
সমাবেশ শেষে মসজিদে-মসজিদে জুমার নামাজের পর শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয় বলে জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আ. মান্নান হাওলাদার, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব মো. জুলফিকার আলী, সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান মানিক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. খোরশেদ আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. এমরান হোসেন, যুবদল নেতা মো. আলাউদ্দিনসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।